ছাত্রীদের বোরকা ও হিজাব পরতে নিষেধ করা সেই প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তি ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরতে নিষেধ করার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে কয়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে আসামি করে থানায় মামলা রুজু করা হয়।

গ্রেপ্তার শিক্ষকের নাম মো. আবু সালেহ (৫০)। তিনি উপজেলার কয়া চাইল্ড হ্যাভেন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের ছেলে। 

জানা যায়, আবু সালেহ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরতে নিষেধ করে আসছেন- এমন খবর পেয়ে গত সোমবার এক নারী অভিভাবক তার কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। সে সময় প্রধান শিক্ষক মহানবীকে নিয়ে নানান কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। 

বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ কয়া বাইতুল মামুন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলিত হন। সেখানে তারা প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর রাতে এনামুল হক নামের একজন থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় বুধবার ভোরে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বাদী মো. এনামুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক নাস্তিক। তিনি মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাই তার শাস্তির দাবিতে থানায় মামলা করি।

কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ইসলাম ও নবীবিরোধী মন্তব্য করে আসছিলেন। উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বোরকা পরা ছাত্রীদের হেনস্তা ও নবীকে কটুক্তির মামলায় প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।