দুই বছর পর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা © টিডিসি ফটো

দুই বছর পর শহীদ মিনারে সশরীরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন তারা। এর আগে বিগত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে তাদের পক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের সামরিক উপদেষ্টা।

এদিকে, বিগত দুই বছর বিভিন্ন বিধি নিষেধ থাকলেও এবার আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে শহীদ মিনার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবারে মতো এবারও শ্রদ্ধা জানাতে রঙ-তুলি আর আল্পনায় সেজেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ আল্পনা এঁকেছেন। শহীদ মিনারের বেদীর পাশাপাশি চারপাশের দেয়ালগুলোও রঙের আঁচড়ে বাহান্ন থেকে একাত্তরের গৌরবগাঁথা, উত্তাল দিনগুলোর চিত্রকর্ম আর কবি-সাহিত্যিকদের উক্তিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

এছাড়া, শহীদ মিনারের চারপাশে আলোকসজ্জার পাশাপাশি  পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। নিকটবর্তী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাদে তৈরি করা হয়েছে ঘোষণা মঞ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম, ফায়ার সার্ভিস ও প্রাথমিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন: ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার

শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গভীরভাবে তদারকি করছেন। একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমেই অমর একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। সেজন্য সব আয়োজন ও সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

প্রতি বছরের মত এবারও ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন।

২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল ও সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাস বা আইডি কার্ড ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।