হাল্ট প্রাইজ আয়োজনে প্রস্তুত বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি

মিডিয়া
‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে খ্যাত হাল্ট প্রাইজ

স্টার্ট আপ বিজনেস শুরু করার জন্য ‘হাল্ট প্রাইজ’ একটি অন্যতম মাধ্যম। যুব সমাজকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে উদ্যোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হাল্ট প্রাইজ পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। এটি ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে খ্যাত। হাল্ট প্রাইজ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কিছু বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছে। প্রতিবারের মতো চলতি বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ে হাল্ট প্রাইজের আয়োজন করা হবে। 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইন জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে একটি সেশনের আয়োজন করা হয়৷ সেশনে উপস্থিত ছিলেন হাল্ট প্রাইজের রিজিওনাল স্পেশালিস্ট এবং হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের মার্কেটিং কো-অর্ডিনেট কানন শাহ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হেড অফ দ্যা জাজ কো অডিনেটর হাল্ট প্রাইজ ও হেড অব পাবিলিক রিলেশন অফ নিউজ পেপার অলিম্পিয়াড আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। এছাড়াও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর হাল্ট প্রাইজের অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যরা এই সেশনে অংশগ্রহণ করেন। 

সেশনে কানন শাহ এবং আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যদের এবং পার্টিসিপ্যান্টদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন দেন। এবং তারা তাদের  হাল্ট প্রাইজের দীর্ঘ যাত্রা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

অন-ক্যাম্পাস ডিরেক্টর রক্তিম চৌধুরী কমিটির সদস্যদের সাহায্যে এই সেশনের আয়োজন করেন এবং ডেপুটি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিগাল এই সেশনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেন। সম্মানিত ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দিন শাহরিয়ার এবং এডভাইজর মোহাম্মদ ইমরান চৌধুরীর গাইডলাইনে এই সুন্দর সেশনটি আয়োজন করা হয়। অতিথিদের আলোচনা শেষে কমিটির সদস্যরা তাদের সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার মাধ্যমে সেশনের শেষ হয়।

আয়োজকরা জানান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ হাল্ট প্রাইজের টিম রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। যা আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলবে। পিস সাবমিশন এর মাধ্যমে এবার অন ক্যাম্পাস চ্যাম্পিয়ন টিম রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে। বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এই আয়োজনে এবার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।

উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা, যা প্রতি বছর বিশ্বের ১২০-এর অধিক দেশের ২০০০-এর অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়ে থাকে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিযোগিতাটি হয়ে আসছে যা মূলত বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাকে একটি টেকসই ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করে।