ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন— যা বললেন অভিযুক্তরা

বিবস্ত্র
অভিযুক্ত সানজিদা ও তাবাসসুম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য দেওয়া শেষে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথেও।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে আসেন অভিযুক্ত দুই ছাত্রী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা ও তাবাসসুম। এর পর তারা তদন্ত কমিটির আহবায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক রেবা মণ্ডলের কার্যালয়ে যান। সেখানে পৃথক পৃথক ভাবে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তদন্ত কমিটির আহবায়কের রুম থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকরা তাদের কাছে জানতে চান, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের অভিযোগ সত্য কি না? এর জবাবে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আরেক নেতা তাবাসসুম বলেন, ‘যা বলার তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি, এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।’

গণমাধ্যমকর্মীরা ছাত্রলীগের সহসভাপতিক সানজিদার কাছেই বেশি প্রশ্ন করেন। প্রথমে তিনি কিছু বলতে না চাইলেও একপর্যায়ে সানজিদা বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সঙ্গে প্রথমে একবার কথা হয়েছে। এরপর চার পৃষ্ঠার লিখিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত কমিটি জানতে চেয়েছে। তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমেই সবকিছু জানতে পারবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আপনি হলে ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। জবাবে সানজিদা বলেন, ‘তদন্ত করলেই সবকিছু জানতে পারবেন। প্রতিবেদন যা আসবে সত্যিটাই তো আসবে।’

ছাত্রলীগের পদ পেলেন কীভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিটিতে আসা বা না আসা আমার কমেন্ট করার কথা না। আপনারা বড়দের সঙ্গে কথা বলেন, সবকিছু জানতে পারবেন।’ হলে ফুলপরীকে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সানজিদা চৌধুরী বলেন, ‘নো কমেন্ট।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে রেখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন এবং সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।