কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়
কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো দেখতে ফ্লাইওভারটি ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এত দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করায় ফ্লাইওভার বন্ধ ছিল। তবে নিচের প্রশস্ত রাস্তা চালু করায় তার সুফল পাচ্ছিল মিরপুরের বাসিন্দারা। 

রোববার (১৯ ফ্রেবুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার পর কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন তিনি। 

ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী সার্কেলের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায়- ২৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩.৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।

একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এটির বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় দুটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, দুটি পুলিশ বক্স, ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন নির্মাণ, ১.৭৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেন এবং ছয়টি বাস ও যাত্রীছাউনি করা হয়েছে।

প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেন বিশিষ্ট রাস্তাগুলোকে ছয় লেন করা হয়েছে। প্রধান চারলেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। দুই-লেন বিশিষ্ট র‌্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।

আরও পড়ুন: লেখাপড়ার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) পাবলিক রিলেশন অফিস জানায়, প্রকল্পটির আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, দুইটি ফুল ওভার ব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস বে নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি হলে মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট লাঘব বলে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্লাইওভারেও ভালো সুফলের আশা করছে মিরপুরবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীরা।