শান্তিপূর্ণ সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে আমরা সারা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের কোস্টগার্ড অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকায় সার্বভৌমত্ব এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ১৯৯৫ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২৮ বছরে আজ একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। ১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের উত্থাপিত বিলের কারণেই ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’ একটি আধা-সামরিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

‘‘এরপর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার কোস্টগার্ডের বিভিন্ন জোনের জন্য ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন নতুন জলযান সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখে।’’

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ: নওফেল

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোস্টগার্ডের প্যারেড পরিদর্শন এবং সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব এবং সমুদ্র সম্পদের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি অনুধাবন করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফায় তখনকার পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদর দপ্তর পূর্ব পাকিস্তানে স্থানান্তর করাসহ একটি সুসংগঠিত নৌবহরের দাবি জানান।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র এবং সমুদ্রসম্পদের ওপর দেশের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে ‘The Territorial Waters and Maritime Zone Act’ প্রণয়ন করেন। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এ ধরনের আইন পাশ হয়। ৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো দীর্ঘ ২১ বছরে সমুদ্র অঞ্চলে দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভাবেনি।