শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১০ গুণ

পাসের হার

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। বিগত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। ২০২১-এ এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল পাঁচটি।

গত বুধবার প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের তথ্যানুযায়ী, শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ৪৪টি কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৪টি মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দুটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩টি কলেজ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের, ৯টি রাজশাহীর, ৮টি ঢাকার, ৬টি যশোরের, ৫টি কুমিল্লায় ও ৩টি ময়মনসিংহের। এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষার্থী ছিলেন অল্প কয়েকজন। এমনকি কোনো কোনো কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৫ শতাংশের মধ্যে। ১০টিতে পাসের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। ৪৫টিতে পাসের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।

আরো পড়ুন: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২০ মে

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ অনেকেই ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি বা নামের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘নানাভাবে’ পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতিও পেয়ে যায়। কিন্তু সেগুলো পরে আর শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে তদারক না করায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। 

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করছে না, তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী।