পবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে কর্মকর্তাদের হাতাহাতি

আন্দোলন
পবিপ্রবিতে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মকর্তাদের আন্দোলন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং রেজিস্ট্রারের অনুসারীদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে হঠাৎ মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অনুসারীরা। এসময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বক্তব্য চলমান থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জসীমউদ্দিন বাদল, শাহীন হোসেন, শামীম আহমেদসহ রেজিস্ট্রারের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল ও কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধাসহ বেশ কয়েকজন এ হামলার শিকার হয়েছেন।

আরো পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা

এদিকে, হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপ করেছেন। হামলার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মশারফ খন্দকার, শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে রেজিস্ট্রারের অনুসারীদের কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে ভিত্তিহীন বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম আমাদের এ এলাকার সন্তান। তাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু কর্মকর্তা এ অরাজকতা সৃষ্টি করছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, বিষয়টি সমাধানে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন-উর-রশিদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে আলোচনায় বসেছেন।

উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রারকে দুর্নীতিবাজ এবং কর্মকর্তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণে প্রধান বাধা উল্লেখ করে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কর্মকর্তারা।