দেশের শিক্ষার হার ৭৫.২ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা মেধাবী। সুযোগ পেলেই তারা ভালো ফল করতে পারে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইচএসসি ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। ঘরে বসেই ফল জানতে পারবে। শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর থেকে আরও উন্নীত করতে হবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে হবে।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে গণভবনে এইচএসসি ও সমমানের পূর্ণাঙ্গ ফলের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সবশেষে কম্পিউটারের একটি বোতাম চেপে এইচএসসির ফল প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নানা উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলা গড়ায় করোনার সময় অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এ সময়েও শিক্ষাগ্রহণ করতে পেরেছে শিক্ষার্থীরা। কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও সবাই শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছে। এ সময় স্বল্প সময়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষা নিয়ে সময়মতো ফলাফল দেওয়া যাচ্ছে। আজ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। সব দিক থেকে চেষ্টা করেছি লেখাপড়া যাতে চালু থাকে। ৬০ দিনের স্থলে ৫৭ দিনে ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে। পরীক্ষার পাস করেছে তাদের অভিনন্দন। মন খারাপ না করে নতুন উদ্যোমে শুরু করতে হবে।

২০২২ সালে ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন।

মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আলিম পরীক্ষায় দুই হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন ৪৪৮টি কেন্দ্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১।