বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রিংকুকে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার

গোলাম সাঈদ রিংকু

তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাঈদ রিংকু। দেশটির কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের এই শিক্ষার্থীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকের এক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, আলহামদুলিল্লাহ। তুরস্কে গোলাম সাঈদ রিংকুকে ভবনের নিচে চাপা পড়া অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

“রিংকু শারিরীকভাবে প্রচন্ড দূর্বল, তার জন্য দোয়া করবেন। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই তুরস্ককে তাদের উদ্ধার তৎপরতার দক্ষতার জন্য।”

রিংকু বগুড়া শহরের আর্মড (এপিবিএন) স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি করতেন। তিনি বসবাস করতেন তুরষ্কের আঙ্কারায়। রিংকুর বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামে। তিনি গোলাম রব্বানীর ছেলে।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক বহুতল ভবন ধসে পড়ে, হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়ে। 

এখনও পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভয়ঙ্কর এক অবস্থা থেকে বেঁচে ফিরলেন রিংকু্।