ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরার জামিন 

আমাতুল্লাহ বুশরা
আমাতুল্লাহ বুশরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার আসামি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিনের এ আদেশ বহাল থাকবে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।

আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফারদিনের বাবা। শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।

এর আগে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার গত ৫ জানুয়ারি আদেশের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন।

শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন, বুশরা এর সঙ্গে জড়িত না। গত ১৫ ডিসেম্বর ডিবি ও র‌্যাব বলেছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বুশরার জামিনে আপত্তি জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, মামলায় বুশরা প্রধান আসামি। ঘটনার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত ফারদিনের সঙ্গেই ছিলেন।

গত ৫ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের পর ফের জামিন আবেদন করেন বুশরা। গত ১৬ নভেম্বর বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন খারিজ হলে কারাগারে পাঠানো হয়। ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা এফআইআর দায়ের করার দুদিন পর ১০ নভেম্বর বুশরাকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত আসামি তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন চার বছর ধরে পরিচিত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।