রাবিতে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় নারীর ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) "স্থানীয় জ্ঞান এবং সামাজিক মূলধন সম্পর্কের মাধ্যমে নারীর অভিযোজন : বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট " শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারটি মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের ১৫৬ নাম্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের ঝুঁকি ও  এসব অঞ্চলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের মারামারির খবর সংগ্রহে গিয়ে নিজেই মারধরের শিকার

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে কী-নোট স্পীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট ড. মমতাজ বিনতে খলিল।

এসময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি দূর্যোগের শিকার হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরদেরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারা খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ অর্থাৎ পরিবারে যেসব সম্পদ থাকে তা ব্যবহার ও রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছু স্থানীয় জ্ঞান ব্যবহার করে থাকে। যেমন: সবজি উৎপাদন বা কৃষিকাজ, মাছচাষ, খাবার সংরক্ষণ, শস্যবীজ ও জালানি তেল সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে তারা অনেক ভূমিকা পালন করে। এখানে তারা সামাজিক সম্পর্ক ব্যবহার করে প্রতিবেশীদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন এনজিওর সাথে সম্পর্ক হয়।

ড. মমতাজ বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে এবং তা সমাধানের চেষ্টা করে। সরকার যদি এনজিওর মাধ্যমে নারীদের আরও সাহায্য করে তাহলে তারা আরও ভালো ভাবে সামনের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে পারবে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নারীর জ্ঞান, দক্ষতা এবং সৃষ্টিশীল ধারণা খুবই শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে বীজ সংরক্ষণ, অভিযোজন এবং জলবায়ু সহনশীল কৌশল গ্রহণে নারীর অনেক ভূমিকা রয়েছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার হলে নারীর মর্যাদা বাড়বে এবং সমাজে বৈষম্য কমে আসবে।

এসময় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, অধ্যাপক তানজিমা জহুরা হাবিব, অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. মো. সায়েদ আকতার,  অধ্যাপক ড. জামিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জিএম ওহাবসহ বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।