বরিশাল বোর্ডে পাশের হারে শীর্ষে ভোলা, পিছিয়ে পটুয়াখালী

বরিশাল বোর্ডে পাশের হারে শীর্ষে ভোলা, পিছিয়ে পটুয়াখালী
বরিশাল বোর্ডে পাশের হারে শীর্ষে ভোলা, পিছিয়ে পটুয়াখালী

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে বরিশাল বোর্ডে পাশের হারের দিক থেকে সবার শীর্ষে রয়েছে ভোলা জেলা। আর সব থেকে পিছিয়ে আছে পটুয়াখালী জেলা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।

অরুন কুমার গাইন জানান, এ বছর গড় পাশের হারে ভোলা জেলার অবস্থান রয়েছে সবার শীর্ষে। এ জেলায় মোট পাশের হার ৯২ দশমিক ৫১। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিরোজপুর জেলার পাশের হার ৯১ দশমিক ৮৩। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বরগুনা জেলার পাশের হার ৯০ দশমিক ৭৩।

তিনি জানান, চতুর্থ অবস্থানে থাকা বরিশাল জেলার পাশের হার ৯০ দশমিক ৫৪। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ঝালকাঠি জেলার পাশের হার ৮৬ দশমিক ৯৩ এবং সবার শেষে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা পটুয়াখালী জেলার পাশের হার ৮৪ দশমিক ২৩।

অপরদিকে, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার সবথেকে বেশি এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অবস্থান। জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে মোট ৮ হাজার ২২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ১ হাজার ৩২৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৫১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে এ বছর বরিশাল বোর্ডে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাশ করেনি এমন কোন বিদ্যালয় নেই।

এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।

বোর্ডগুলোর পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৯০, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৬.৭, বরিশাল বোর্ডে ৮৯.৬১, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭.৫৩, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১.২৮, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৪, যশোর বোর্ডে ৯৫.৩, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৭, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮২.২২ এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৪.৭ শতাংশ।