পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে ফেরার পথে পুত্রেরও মৃত্যু

পিতা ও পুত্র

নোয়াখালী সদর উপজেলায় বাবা আবদুল হালিমের (৭৮) স্ট্রোক করে মৃত্যুর খবর শুনে ছেলে হাফিজুল ইসলাম মামুনেরও (৩২) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। 

মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের ডুবাইওলা বাড়ির আবদুল হালিম ও হাফিজুল ইসলাম মামুন।

আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবির নাম ‘আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়’ রেখেছেন শিক্ষার্থীরা

স্থানীয়া জানান, গতকাল শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন আবদুল হালিম। তার পাঁচ ছেলে তিন মেয়ে। হাফিজুল ইসলাম মামুন রেন্টে কার-এ ভাড়া গাড়ি চালাতেন। তিনি বাবা মায়ের ২য় সন্তান। চট্টগ্রাম থেকে ট্রিপ শেষ করে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরেন মামুন। বাড়িতে এসে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরবর্তীতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল হক মাষ্টার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মামুন পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে চট্টগ্রাম থেকে একটা টিপ শেষ করে রাতে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়। সে বাবার মৃত্যুর খবর সহ্য করতে পারেন নাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, আমরা ছেলে মামুনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। মামুন ২ সন্তানের পিতা। এক পরিবারের দুইজনের মৃত্যুতে চারদিকে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুজ জাহের গভীর শোক প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, সকাল ১০টায় বাবা সন্তানের একসঙ্গে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যারা এসেছেন সবাই খুব কান্নাকাটি করেছেন। পরবর্তীতে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।