আইটেক এক্সপোতে সিনিয়র প্রজেক্ট শোকেসিংয়ে চ্যাম্পিয়ন ইস্ট ওয়েস্ট রোবটিক্স

চ্যাম্পিয়ন ইস্ট ওয়েস্ট রোবটিক্স
আইটেক এক্সপোতে চ্যাম্পিয়ন ইস্ট ওয়েস্ট রোবটিক্স

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতিতে মানুষের জীবন হয়েছে সহজ ও সুন্দর। আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরদেরও বিজ্ঞান চর্চার ছোঁয়া লেগেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসে তরুণ বিজ্ঞানীদের মেলা।

রাজধানীর উত্তরার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে গত ২২-২৩ নভেম্বর দু’দিনব্যাপি তরুণ বিজ্ঞানীদের নিয়ে আইটেক এক্সপো-২০২২ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

দেশের বৃহত্তম টেক এক্সপো তরুণ বিজ্ঞান মেলাটি ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনের জন্য ছয়টি বিভাগে বিভক্ত ছিল। দেশের বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ আর্কষণীয় উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে।

এবারের সিনিয়র প্রজেক্ট শোকেসিং বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজধানীর বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ক্লাবের সালাউদ্দিন সাকিব, মো. আসাদ চৌধুরী দিপু ও মো. মিজানুর রহমান রিয়াদ খানের সমন্বয়ে গঠিত দল। সালাউদ্দিন সাকিব ২০১৯ সালে এই বিস্ময়কর এবং অসাধারণ ডিভাইসটি আবিষ্কার করেন এবং পেটেন্ট সার্টিফিকেশন নেন।

‘ও জোন’ নামক তাদের প্রজেক্টটি (প্রকল্প) ছিল একটি বিষাক্ত ধোঁয়া পরিশোধক ডিভাইস। যানবাহনের এক্সজিস্ট পাইপ থেকে নির্গত হাইড্রোকার্বন, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, সীসা এবং অবার্ন হাইড্রোকার্বনের মতো ক্ষতিকারক পদার্থকে বায়ুমণ্লেড মিশেতে না দেওয়া এর প্রধান কাজ।

ডিভাইসটি ধোঁয়ার মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থকে আলাদা করে এবং ডিভাইসের ইনার চ্যাম্বারে জমা করে। কার্বন ডাস্টে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে ডিভাইস ব্যবহারকারীকে অবহিত করে। পরিষ্কার করে ডিভাইস পুনরায় ব্যবহার করা যাবে একনাগাড়ে ছয় বছর। এই কার্বন ডাস্ট অপসারণ করে রিসাইকেল করে মেঝের টাইলস এবং কালির মতো ব্যবহারযোগ্য পণ্যে পরিণত করা যেতে পারে।

সিনিয়র প্রজেক্ট শোকেসিং বিভাগে চ্যাম্পিয়ানরা জানান, আমাদের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, অন্যদিকে এই আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে রিসাইকেলের মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে পুনরায় স্বল্প মূল্যের দরকারী পণ্য হিসেবে পরিণত করা যাবে।