শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬০ শিক্ষার্থী

শেকৃবি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হল

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে ৬০ শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরও মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

১৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ফগিং দেওয়া হলেও কমেনি মশার উপদ্রব। ছাত্রদের মতে কিছুদিন আগে থেকেই ফগিং কিংবা মশা নিধনে অন্য কর্মসূচি নিলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকাংশেই রোধ করা যেত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের উচিত ছিল আরও আগে থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করা। এখন ফগিং করে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।’

শেকৃবি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের শিক্ষার্থী। হলের টিভি রুম ও গণরুমে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। দুই রুমে গাদাগাদি করে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। ১০ তলা বিশিষ্ট নবাব হলের প্রায় প্রতিটি তলায় ডেঙ্গু রোগী আছেন। কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলে দু জন ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া শেরেবাংলা হলেও কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্তদের অনেকে বাসায় চলে যাচ্ছেন। কয়েকজন আবাসিক হলে এবং অবস্থা বেশি নাজুক হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ক্যাম্পাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ জন হয়েছে।

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের নাজুক অবস্থা নিয়ে হলের প্রভোস্ট ড. মো. সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, আমার হলে ছাত্র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। আমরা নিয়মিত হল পরিষ্কার করছি। মশা নিধনে এরইমধ্যে তিনবার স্প্রে করা হয়েছে।

মশা নিধনে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয় এবং হলে মশা নিধনে ফগিং করা হয়। তবে এসব পদক্ষেপ এত দেরিতে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব মো. আল সামসুল হক (সাগর) বলেন, মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব। তবে আমি এখনো অফিসিয়াল চিঠি পাইনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী জ্বর নিয়ে এসেছেন। তবে এদের মধ্যে সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন না। যারা ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছেন তাদের আমরা উপযুক্ত পরামর্শ দিয়েছি।