বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ যায় ভারতে

সবচেয়ে বেশি অর্থ যায় ভারতে
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো হয় ভারতে

প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স আয়ের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হলেও দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। বিদেশিরা গত অর্থবছরে ২৩ শতাংশ বেশি অর্থ তাঁদের দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশিরা ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার নিজ নিজ দেশে পাঠিয়েছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলারে। গত অর্থবছরে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে ভারতে, যা সর্বোচ্চ।

জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে ভারতীয়রা কাজ করেন। এ কারণেই প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেশি রেমিট্যান্সে যায়। রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ৮৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। চীনে গেছে ৮৫ লাখ ডলার। এছাড়া জাপানে ৫৩ লাখ ও শ্রীলঙ্কায় ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়েছে ওই দুই দেশের নাগরিকরা। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদেশি এ দেশে অবৈধভাবে বসবাস করায় তারা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান।

তবে বাংলাদেশ কতসংখ্যক বিদেশি কর্মী বৈধভাবে কাজ করছেন তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে এই তথ্য থাকার কথা। তাদের কাছে বিদেশিদের সঠিক হিসাব নেই। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্যের আলোকেগণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের ৯৭ হাজার ৬৯৫ জন অবৈধভাবে অবস্থান করছেন বাংলাদেশে। ২০২০ সালে টিআইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৪টি দেশের প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার নাগরিক কাজ করেন এ দেশে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) রিসার্চ ফেলো মুনতাসির কামাল বলেন, এ দেশে যারা কাজ করেন তাদের ২০ শতাংশ আয়কর দেয়া লাগে। এ জন্য কর ফাঁকি দিতে টুরিস্ট ভিসায় এসে কাজ করেন অনেকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে দেশে কাজের সুযোগ দিতে হবে। এই দায়িত্ব নিতে হবে বিডাকে।