শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করেছে সরকার

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

করোনা মহামারীর দীর্ঘ ছুটির কারণে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরি ‘মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক গনমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকদের 'পাঠদান মান' ও 'দক্ষতা' যাচাইয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিশ্র পদ্ধতিতে (ভার্চুয়াল ও সরাসরি) পাঁচটি ধাপে মনিটরিং করা হবে। যেমন- নিম্ন মান, চলতি মানের নিচে, চলতি মান, ভালো ও অসাধারণ; এই ৫ ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে বিন্যাস করা হবে।

এছাড়া, এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করে এ বিষয়ে 'বিলম্বে', 'অনিয়মিত', 'অননুমোদিত অনুপস্থিতি' এবং 'অদক্ষতা'র বিষয়ের ভিত্তিতে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক নোটিশ জারি করা হবে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি: প্রধানমন্ত্রী।

সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রকৃত উপস্থিতি যাচাই করা হবে, নিশ্চিত করা হবে শিক্ষকের সংখ্যা ও উপস্থিতি। এ ছাড়া আলাদাভাবে কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষকের ধারণা, শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যে শ্রেণিতে যে বিষয়ে শিক্ষক পড়ান, তা শিক্ষক নিজে পড়েছেন বা আত্মস্থ করেছেন কিনা, তা যাচাই করা হবে।

তিনি বলেন, এই মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আরও থাকবে লেসন প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিত পাঠদান, শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক ও এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম।

তিনি আরও জাানন, শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন দক্ষতা যাচাই করতে এবং শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোকেও তদারকির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।