মরিয়ম বলছেন মায়ের লাশ পেয়েছেন, দ্বিধায় পুলিশ

মরিয়ম মান্নান
রহিমা বেগমের লাশ পেয়েছেন বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকায় নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) লাশ পেয়েছেন বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন। তবে দৌলতপুর থানা পুলিশ, পিবিআই ও ময়মনসিংহ পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তারা নিশ্চিত নন। গত ২৭ আগস্ট খুলনার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। পরদিন মেয়ে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র’। কিছু সময় পর আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। পরে বিষয়টি ভাইরাল হয়। আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যারা যারা বলেছিলেন আমার মা আত্মগোপন করেছেন, তারা সবাই নাক ঢাকার জন্য ব্যবস্থা করুন। কারণ আমার মায়ের পঁচা গলা আর পোকায় খাওয়া লাশটা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে সবার আগে যাব!’ এক নারীর পঁচা-গলা লাশের ছবিও দিয়েছেন তিনি।

মোবাইল ফোনে মরিয়মের ভাই মো. সাদী বলেন, তার বোন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কান্নাকাটি করছে। তবে কখন, কোথা থেকে ও কীভাবে মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দিতে পারেননি। বিস্তারিত বোন জানে।

আরো পড়ুন: রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, তিনি শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি। মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে কথা বলেছে। মরিয়ম তাদেরকে জানিয়েছে, ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায়  তার মায়ের লাশ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বয়স ৩২ বছর উল্লেখ করে দাফন করা হয়। আর খুলনার নিখোঁজ নারীর বয়স ৫২ বছর। মরিয়ম তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন, পরনের কাপড়ের ছবি দেখে মায়ের লাশ শনাক্ত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ উদ্ধার করা মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। মরিয়মকে ফুলপুর থানায় যাওয়ার জন্য বলেছেন। সেখানে তার ডিএনএ সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি ডিএনএ মেলে তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ফুলপুর থানা যে বয়স উল্লেখ করেছে, তার সঙ্গে নিখোঁজ নারীর বয়স মেলে না। মরদেহের ছবি দেখেও তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। যে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা রহিমা বেগমের কিনা সে ব্যাপারে মোটেও নিশ্চিত নন।