খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, যা বললেন আইনমন্ত্রী
নির্বাহী আদেশে স্বজনরা আবেদন করলেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তির মেয়াদ শেষ।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে আইনমন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় দেওয়া মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের আবেদনের অপেক্ষায় আছি। আবেদন করলে অবশ্যই মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ফের মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে মত দেবো। তখন তাঁর মুক্তির মেয়াদ ফের বাড়বে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন আবেদন করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। পরে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই বছরই ৩০ অক্টোবর একই মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর মোট পাঁচবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বর্ধিত মেয়াদের শর্তে উল্লেখ আছে, এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এ মর্মে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতির দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।