২০৩০ সালের মধ্যে দেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে কোন নিরক্ষর মানুষ থাকবে না। নির্দিষ্ট সময়ে এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব কথা বলেন। আগামীকাল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এই তথ্য জানান তিনি ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ স্বাক্ষরতার বাইরে। জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভবপর নয়। তাই তাদের স্বাক্ষরতার আওতায় আনতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মৌলিক স্বাক্ষর জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুন এ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এর বাইরে পিইডিবি-৪ প্রকল্পের আওতায় স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও স্কুলে যায়নি এমন ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের মৌখিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের হাতে কলমে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না: শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, দেশে এখনও স্বাক্ষরতার কোনো রূপরেখা তৈরি করা হয়নি। কতটুক শিখলে স্বাক্ষর জ্ঞান অর্জন হবে তার একটি রূপরেখা করা হবে। দেশে চার কোটি মানুষের বেশি যারা এখনো স্বাক্ষরতার বাইরে রয়েছে। তাদের এর আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, চলতি বছর প্রথম শ্রেণির পাইলটিং করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। আমাদের নতুন কারিকুলামের পাঠ্যবই তৈরি হলেও শিক্ষক গাইড এখানও তৈরি করা হয়নি বলে সেটি পাইলটিং করা সম্ভব হয়নি।