২ দিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার সীমান্তে আবার গোলাগুলি
দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আবার গোলাগুলি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের ওড়াউড়ি দেখা যায়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে দুই দিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে সীমান্তের আকাশে কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি।’
গত প্রায় এক মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওপারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে এপারের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশপারী এলাকার মানুষের ঘুম হারাম কয়েক দিন ধরে।
শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, আজ সকাল সাতটা থেকে আবার শুরু হয়েছে গোলাগুলি। পাহাড়চূড়ার বিজিপির চৌকি থেকে খ্য মং সেক পাহাড়ের দিকে থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি আর্টিলারি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। বিকট শব্দে পাহাড়ে পাদদেশে থাকা শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের মাটি কাঁপছে। সমানে চলছে গুলিবর্ষণও। এতে আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা আতঙ্কে আছেন। রোহিঙ্গাদের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে গোলা ও বোমা। আশ্রয়শিবিরে মর্টার শেল কিংবা আর্টিলারি এসে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট পরপর দুইটি মর্টার শেল এসে পড়েছিল সীমান্তের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায়। পরে সেনাবাহিনীর লোকজন ভারী গোলাটি নিষ্ক্রিয় করে।
বৃহস্পতিবার সকালেও তুমব্রুর পশ্চিম, উত্তর ও মধ্যমপাড়ায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় পরপর ১৫টি ভারী অস্ত্র নিক্ষেপের আওয়াজ শোনা যায়। তখন সেখানকার লোকজনের মধ্যেও চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল।
সীমান্তে মর্টার শেল পড়ার ওই ঘটনায় কড়া জবাব দেয় ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ২৯ আগস্ট বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে নোট ভারবালের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া অবিস্ফোরিত আরও দুটি মর্টার শেল পড়ে বাংলাদেশের বাইশপারি এলাকায়।