শাওন প্রধানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের (২০) মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যশোর বিএনপি। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের লালদীঘির পাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশটি শুরু হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার এতে সভাপতিত্ব করেন।
অধ্যাপক নার্গিস আক্তার বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও বাস্তবায়নের শপথ নিয়েই ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। সংবিধান সম্মতভাবে তিনি আমাদের অভিভাবক। কিন্তু তার কর্মকান্ডের কারণে তিনি আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী পর্যায়ে চলে গেছেন।
জাতীয়তাবাদী দলের চলমান আন্দোলন সরকারের উৎখাতের কোনো আন্দোলন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতিসহ নানা জনদুর্ভোগ নিয়ে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, এতে জনগনের কাছে বিএনপির গ্রহনযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গনতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। বিএনপির এই আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ায় জন্য সরকার তার পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। নিশি রাতের আরেকটি একদলীয় নির্বাচন কায়েম করতে সরকার এই আন্দোলনকে ভয় পায়।
শাওন হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীকে কে দিল? এই দেশে গনতান্ত্রিকভাবে কথা বলার অধিকার সবার আছে। আওয়ামী লীগ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় নিয়ে আসে। ১৫ বছর ধরে দেশকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শাওন কার?
বিক্ষোভ সমাবেশে যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব আইনজীবী সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, মারুফুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আমীর ফয়সাল, জেলা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক মন্জুয়ারা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শাওন হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী দল, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দলসহ অঙ্গসংগঠনের জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও নগরের নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।