ডিজেল-পেট্রল-অকটেনের দাম কমছে, রাতেই প্রজ্ঞাপন
ডিজেল-পেট্রল-অকটেনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়।
এদিকে, গতকাল রবিবার (২৮ আগস্ট) ডিজেলের ওপর থেকে সব ধরনের আগাম কর মওকুফ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
এরপর আজ সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ডিজেলের আগাম কর কমেছে। এখন জ্বালানির দাম কতটুকু কমাতে পারব তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিন্তু আবার ঊর্ধ্বমুখী। পরিশোধিত ডিজেলের ব্যারেলপ্রতি দাম উঠেছে ১৫০ ডলারে, যেটা আগে ১৩০ ডলার ছিল।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় আমরা দাম কতটুকু সমন্বয় করতে পারব, সেটা ভাবছি। কারণ এখানে ভর্তুকির বড় একটা অংশ আবার যোগ হবে। যখন ডিজেল ১১৪ টাকা ছিল তখন ডিজেলে আট টাকার ওপরে ভর্তুকি ছিল, এখন হয়তো সেই জায়গাটা আরও বাড়বে।
সম্প্রতি বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয়ের সময় ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
পরে ওই ঘোষণায় প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানো হয়। দাম বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ জানান, তেলের দামের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর ফলে খরচ কতটা কমবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দাম কমানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এখনও ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৩২ ডলার পড়ছে, যেটা আমাদের বিক্রয় মূল্যের চেয়ে লিটারে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি।