পরীক্ষা করে বইয়ের তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত: সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম জানিয়েছেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বই কিনতে একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকা তালিকা পরীক্ষার পর সংশোধন কিংবা বাতিল করা হবে।’
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমে আলাপকালে সচিব এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা-উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠাগার তৈরির একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী চার বছরে ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পাঠাগার গড়ে তুলবো। এজন্য ১৪শ’ বইয়ের একটি তালিকা করা হয়েছিল। এটি এমন নয় যে, এই ১৪শ’ বই থেকেই বই কিনতে হবে। সেটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে।’
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, ‘গতকাল সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো, যদি এর সত্যতা প্রমাণ হয়, কোনো সমস্যা যদি দেখি তাহলে তালিকা বাতিল বা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবো। এসময় অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা তা করবো।’
তিনি বলেন, ‘তালিকায় একজনেরই যে ২৯টি বই- এ তথ্য আমার জানা ছিল না। গণমাধ্যমে আসার পর এটা জানতে পেরেছি। আমরা এটি পরীক্ষা করছি। সে অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এটি নিয়ে আগামীকাল সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’
আরও পড়ুন : জবিতে যার যত ক্ষমতা তিনি তত দেরী করে আসেন অফিসে
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আমরা দেখবো- যে বইয়ের তালিকা করা হয়েছে, তা গুণগত মান সম্পন্ন কি না, অথবা একজনের ২৯টি বই মানসম্মত নাও হতে পারে। সব বিষয়াদি পর্যালোচনা করে দেখবো। যে সিদ্ধান্ত আসবে সবাইকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। বই কেনার টাকা চার বছরের ভিত্তিতে, প্রতিবছর ছোট ছোট করে বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতিবছর বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে। গত বছরের অর্থছাড় হয়েছে। যেহেতু চার বছরের প্রকল্প, প্রতিবছরই অর্থ বরাদ্দ হবে।’
সচিব বলেন, ‘আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বই কেনা শুরু হয়েছে কি না। বই কিনতে উপজেলা পর্যায়ের জন্য দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে দুই লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হবে।’