শর্ত ভাঙলেই বাতিল হবে আইজিপির ভিসা
জাতিসংঘ পুলিশ সামিটে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তাকে ভিসা দিয়েছে দেশটি। তবে জুড়ে দেয়া হয়েছে নানা শর্ত। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) আইজিপির ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদরদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, জাতিসংঘের সফরে গিয়ে নিউ ইয়র্কের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন শর্তে দেয়া হয়েছে ভিসা। আবার নিউ ইয়র্ক সিটিতেও তার কর্মকাণ্ড সীমিত থাকবে।
এ কর্মকর্তা বলেন, বেনজীর জাতিসংঘ সম্মেলন ছাড়া সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বা সরকারি-বেসরকারি কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। এসব শর্ত ভঙের সঙ্গে সঙ্গে তার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে জানানো হয়, ‘জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ প্রধানদের নিয়ে তৃতীয় সম্মেলন হবে। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।’
এই প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আইজিপি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব মুহম্মাদ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ উপমহাপরিদর্শক নাসিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলেন আইজিপি
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের পুলিশ সামিট হতে যাচ্ছে। দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের এ পুলিশ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
এর আগে, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ)।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন- র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান ও র্যাব-৭-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।
এর মধ্যে সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।