২৫ আগস্ট ২০২২, ১৯:৪৫

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্টের

মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা  © সংগৃহীত

মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কবে থেকে কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হবে সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে নিরাপদে ফিরে যেতে পারবে না। রাখাইনের সহিংসতায় জীবন নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ও অঞ্চলের অন্যান্য স্থানসহ মিয়ানমারের থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে ১৭০ কোটি ডলার মানবিক সহযোগিতা দিয়েছে।

২০১৭ সালে আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের স্বভূমিতে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে এইডস রোগী, ছড়িয়ে পড়ছে দেশে

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে সেই দেশগুলোর সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

এদিকে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের জনাকীর্ণ পরিবেশ থেকে সরিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁদের জন্য নানা অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। রোহিঙ্গারা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় কক্সবাজারের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে।

বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বন্দোবস্ত করার জন্য বলে আসছে বাংলাদেশ। এমনকি পশ্চিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো দেশ পারলে যেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়, সে আহ্বানও জানানো হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে সংকটের পাঁচ বছরের মাথায় প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বিস্তৃত জরুরি মানবিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশে থাকা এবং অঞ্চলের অন্যান্য স্থানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখজনক সংখ্যায় বাড়াতে কাজ করছি, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবন পুনর্গঠন করতে পারে।