ছাত্রকে পিটিয়ে সাতটি বেত ভাঙলেন কোচিংয়ের শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল
বরগুনায় স্কুলছাত্রকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পিটিয়েছেন কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক। শিক্ষার্থীকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভুক্তভোগী উপজেলার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রায় দেড় মাস আগে বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া বাজারে সাকসেস কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটলেও ভিডিও আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। এরপর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাউপাড়া বাজারে ‘সাকসেস কোচিং সেন্টার’ নামের একটি কোচিং খোলেন স্থানীয় ছগির হোসেন। সেখানে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রসহ ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়েন। প্রায় দেড় মাস আগে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রকে মারধর করা হয়। মারধরের সময় ছাত্র অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মারা বন্ধ করা হয়। এরপর একটি ঘরে তাকে আটকে রাখেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ দিন বন্ধ থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র জানান, আমার ক্লাসের এক বন্ধুর সাথে আমি দুষ্টুমি করি। এই ঘটনায় ছগির স্যারের ভয়ে আমি তিনদিন কোচিং সেন্টারে যাইনি। তার পরে প্রাইভেটের বড় ভাইদের দিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে একটি রুমে আটকানো হয়। এরপর ছগির স্যার ১০টি বেত নিয়ে আসে। প্রায় আধঘণ্টা যাবৎ আমাকে পেটাতে থাকে। আমি স্যারের হাতে-পায়ে ধরলেও আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এই আধা ঘণ্টায় ৭টি বেত ভেঙে ফেলেছেন
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ছগির হোসেন বলেন, ‘ওই ছাত্র দুষ্টুমি করার পরে আমি বেত দিয়ে ১৪০টি পিটুনি দিছি। সেটা কে বা কারা ভিডিও করেছে তা আমি দেখিনি। এ বিষয়ে নিউজ করার কোনো দরকার নেই বলেও জানান তিনি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম সাদিক তানভীর বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আমিও দেখেছি। খুবই দুঃখজনক বিষয় পাশাপাশি ফৌজদারি অপরাধের ভেতরেও পড়ে। সে ক্ষেত্রে থানায় ওই ছাত্রের অভিভাবকেরা মামলা করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন কোচিং সেন্টার অবৈধ। ওই অভিযুক্ত সগীরের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি পাশাপাশি নোটিশও করাব। বর্তমানে ওই শিক্ষক পলাতক আছেন। বের হলে ও কোচিং সেন্টার খোলা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’