দাম বেড়েছে টুথপেস্ট, সাবান- ডিটারজেন্টের
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দামও। গত দু-তিন মাসেই কম্পানিগুলো ডিটারজেন্ট, সাবান ও টুথপেস্টের দাম কয়েক দফা বাড়িয়েছে। কম্পানি ভেদে ডিটারজেন্ট পাউডারের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের টুথপেস্টের দাম পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই মাসেই দুইবার এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। কিছু দিন আগেও নতুন করে বাড়ানো হয়েছে, নতুন দামের পণ্য এখন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এসব পণ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে এসব পণ্যের উত্পাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, যার কারণে বাধ্য হয়েই দাম বাড়িয়েছেন তাঁরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজারের দোকানগুলোতে থাকা পুরনো ও নতুন সরবরাহ করা পণ্যের মোড়কে এ বাড়তি দামের চিত্র পাওয়া গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে, এক কেজি রিন পাউডারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা দুই মাস আগে বিক্রি করা হতো ১৫০ টাকায়। এক কেজি হুইল ওয়াশিং পাউডার বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকায়, যা দুই মাস আগে ছিল ১০৫ টাকা। সার্ফ এক্সেল এক কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ২৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। এক কেজি ঘড়ি ওয়াশিং পাউডার বিক্রি করা হচ্ছে ১০৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৯০ টাকা
গোসল করার সাবানের মধ্যে ১২৫ থেকে ১৫০ গ্রামের লাইফবয়, লাক্স, মেরিল, স্যাভলন, ডেটলসহ বিভিন্ন কম্পানির প্রতিটি সাবানের দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে বাজারে থাকা অন্যান্য কম্পানির সাবানগুলোর দামও বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে কাপড় কাচার বিভিন্ন কম্পানির বল সাবানের দাম তিন থেকে আট টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো ১ কোটি ফাইজার টিকা পেল বাংলাদেশ
বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্টের দামও বেড়েছে। বিভিন্ন কম্পানির ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের টুথপেস্টের দাম পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে ৫০০ গ্রাম ওজনের থালাবাসন ধোয়ার তরল সাবানের দাম ১১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ ও উত্পাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, যার কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে যে পরিমাণ উত্পাদন ব্যয় বেড়েছে, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সেই পরিমাণ দাম বাড়ানো হয়নি। ’
ইউনিলিভার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি আমদানি ও উত্পাদন ব্যয় বেশ কিছু কারণে প্রকটভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, পণ্যের ঘাটতি, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান হ্রাসের মতো বিষয়গুলো অন্যতম। তাই কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে।