শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ: মান্না
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩২ AM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৮ AM
সরকারের ব্যর্থতার কারণে আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন, এটি সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (২৩ আগস্ট) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের অযুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফিস এবং ব্যাংকের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।
এই সরকার দেশের মানুষের সকল নাগরিক এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিজেদের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। একারণে নিজেদের দেউলিয়াত্ব তারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে।
মান্না বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকার ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করলেও প্রকৃতপক্ষে অনেক আগেই তারা দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা প্রতি বছর ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর এখন সংকটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের অযুহাত দেখাচ্ছে। এতদিন মিথ্যা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে তারা এখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছে হাত পাতছে। পাচারের মাধ্যমে তারা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি করে ফেলেছে। জ্বালানি তেলের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। নতুন করে জ্বালানি তেল আমদানির টাকাও নেই তাদের কাছে।
আরও পড়ুন: শুক্র-শনি বন্ধ সব স্কুল কলেজ, প্রজ্ঞাপন জারি।
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান সংকটের দায় কেবল এই সর্বগ্রাসী সরকারের। জ্বালানি তেল সহ অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন শ্রীলঙ্কার প্রায় সমান এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন তলানিতে ঠেকেছে।
তিনি আরও বলেন, সংকট উত্তরণের জন্য এই সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ পেলেও সেই অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে জনগণের মাথায় নতুন ঋণের বোঝা চাপাবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ অবৈধ, দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করা। অন্যথায় এই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে মেধাহীন করবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।