২২ আগস্ট ২০২২, ১৪:৫৪

বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে সেটা আমি চাই না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে সেটা আমি চাই না। ইতিমধ্যে সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের এই বাংলাদেশের সব মানুষ নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে সেটাই আমি চাই। দেশে কোন ভূমিহীন বা গৃহহীন যেন না থাকে। ইতিমধ্যে হতদরিদ্র ভূমিহীন গৃহহীনদের মধ্যে বিনামূল্যে ঘর-বাড়ি করে দিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বিসিএস কর্মকর্তাগণের ৭৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে, সুন্দর জীবনের অধিকারি হোক এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় দেশবাসীকে উন্নত ও সুন্দর জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই তরুণ অফিসাররা তাদের মনন ও বুদ্ধিমত্তাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে। তারা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতেও বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। কোন এলাকায় গৃহহীন বা ভূমিহীন ব্যক্তি সরকারের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে কিনা তা খুঁজে দেখার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি, এটা ডাহা মিথ্যা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে শুধু গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি তাই নয়, তাদের জীবন-জীবিকারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কাজেই আমি চাই আপনারা যারা নতুন হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন তারাও এই বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখবেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সেভাবেই আপনারা কাজ করে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবায় নিবেদিত ও দক্ষ এবং পেশাদারি মনোভাব সম্পন্ন জনপ্রশাসন গড়ে তোলাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। কেননা তিনি চান জনগণ যেন সবকিছুতে সম্পৃক্ত থাকে, সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নামটিও তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন বলেও জানান। জনগণের সেবা দেওয়াটা আমাদের সবার সাংবিধানিক কর্তব্য। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। কাজেই জাতির পিতার সেই আদর্শ ধারণ করেই আপনারা কাজ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্পাদিত জাতির পিতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার (স্পেশাল ব্রাঞ্চের) রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত বই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এর সিরিজ বইগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন গ্রন্থটিও প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের পড়ে দেখার আহবান জানান।