২১ আগস্ট ২০২২, ১৪:৪১

ভালবাসার টানে মেক্সিকো যেতে চান রুমান, ভিসার অপেক্ষায়

গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস ও রুমান  © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। অবশেষে বাংলাদেশে এসে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন মেক্সিকান এক তরুণী। তবে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই দেশে ফিরে যেতে হয় তাকে। এবার সেই স্ত্রীর কাছে যেতে ভিসার অপেক্ষায় স্বামী রবিউল হাসান রুমান। ভিসা হাতে পেলেই উড়াল দেবেন সাড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ মেক্সিকোর উদ্দেশে। অচেনা সেই শহরেই গড়তে চান সুখের সংসার।

২০১৯ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকা আসেন মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস। এরপর তাকে স্বাগত জানান রুমান ও তার পরিবার। 

বিমানবন্দর থেকেই ছোটেন ঢাকা জজ আদালতে। গ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের। গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের নাম রাখা হয় লাইলী আক্তার। মধ্যরাতে সরিষাবাড়ির পোগলদিঘা গ্রামে পৌঁছান নয়া দম্পতি। সেখানে এক মাস অবস্থানের পর নিজ দেশে ফিরে যায় লাইলী আক্তার। যাওয়ার আগে রুমানকে শিগগিরই মেক্সিকোতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন লাইলী আক্তার।

আরও পড়ুন: প্রোগ্রামে না যাওয়ায় থাপ্পড় মেরে কান ফাটানোর হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

রুমান বলেন, লাইলী চলে যাবার পর আমি মেক্সিকো যাওয়ার ১ জন্য গত মে মাসে ভারতের দিল্লীতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১২ দিন ছিলাম। কাগজ পত্র সব জমা দিয়েছি। সেখান থেকে ভিসার জন্য ডাকলেই ভিসা নিতে যাব। ভিসা নিয়ে আসার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মেক্সিকো চলে যাবার ইচ্ছা রয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সেখানে আমি যাতে ভালোভাবে থাকতে পারি। সুখি হতে পারি।

রবিউল হাসান রুমানের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, লাইলী আক্তার আসার পর প্রথমে সাংবাদিকরা এসে নিউজ করে। এরপর ইউটিউব আর ফেসবুকের কিছু লোক আইসে আমাদের অনেক ডিস্টার্ব করেছে। আর ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছে। তাই তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে এখন আমার ছেলে কোনো মিডিয়ার সঙ্গেই ঠিকমতো কথাও বলে না, ছবিও তুলতে দেয় না।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল হাসান রুমান। ময়মনসিংহের রুমডো ইন্সটিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করছেন তিনি। মেক্সিকোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক শেষ করেন লাইলী আক্তার। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী।