২১ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন  © ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

গত ১৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার এরুপ বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।

আরও পড়ুন: আমি ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি, কথার কথা বলেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে, গত ১২ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। দেশের মানুষ 'বেহেশতে' আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দেশজুড়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়। এর পর গত ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে বৈঠকের পর ড. মোমেন গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমি তো ট্রু সেন্সে ‘বেহেশত’ বলিনি। কথার কথা।

তবে গত ২০ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির এক আলোচনা সভা শেষে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আমাদের দলের কেউ নয়, সে কারণে তার বক্তব্যের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না।