সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়েছে চবি ভর্তিচ্ছুরা
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পাওয়ায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে এ ট্রেনটি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ট্রেন আটকে দেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, টিকিট থাকার পরেও তাদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভর্তিচ্ছু বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ছাত্রদের সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ঢাকা বিভাগ) খায়রুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীসহ যাত্রীরা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ফলে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখনো আটকে যায়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যাত্রা বিরতে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।
জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় কয়েক হাজার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। ‘বি’ ইউনিটের আসনসংখ্যা ১ হাজার ২২১টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৭৯ জন। এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। এদিকে চবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভর্তিচ্ছুদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ দফা নির্দেশনা
চবির কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত সব বিভাগ ও ইন্সটিটিউট নিয়ে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরে মধ্যে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩৫, ইংরেজিতে ৩৫, সাধারণ জ্ঞানে ৩০ নম্বর থাকবে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।
এর আগে, চবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মারধরের অভিযোগ উঠে ট্রেনের টিটির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন। ভর্তি পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটেন শিক্ষার্থীরা। স্ট্যান্ডিং টিকেট ক্রয় করায় তাদের জরিমানাসহ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বলা হয়। জরিমানা না দিলে ভর্তিচ্ছুদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন টিটি। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা লাকসাম স্টেশনে ট্রেনের সামনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন।