চোখের পলকে শেষ এক পরিবার, গাড়ির চালক বাবা-পেছনে নবদম্পতি

চোখের পলকে শেষ একটি পরিবার
চোখের পলকে শেষ একটি পরিবার  © সংগৃহীত

চোখের পলকে শেষ একটি পরিবার। রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় ক্রেন থেকে পড়া ভায়াডাক্টের নিচে চাপা পড়া প্রাইভাটকারটিতে নবদম্পতি ও ২ শিশুসহ একই পরিবারের ৭ জন ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবা নিজেই। আর পিছনে বসে ছিলেন ছেলে এবং ছেলের বউ।  

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জসীম উদ্‌দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরার পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। এছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নবদম্পতি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,, গত শনিবার শরীয়তপুর সদরের ঢালী বাজার এলাকার বাসিন্দা রিয়া মনির সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয়। আজ কাওলায় হৃদয়দের বাড়িতে ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে রিয়ার বাবা মো. রুবেল গাড়ি চালিয়ে তাদের আশুলিয়ার খেজুরবাগানে রিয়াদের বাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। হৃদয়, হৃদয়ের বাবা রুবেল, রিয়া ছাড়াও প্রাইভেটকারটিতে কনে রিয়ার একজন আত্মীয় ও ২ শিশু ছিল। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয় ও রিয়ামনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল করে। উড়াল সড়কের একটি গার্ডার ক্রেনে স্থানান্তর করার সময় চলতে থাকা প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে যায়। প্রকাণ্ড ওই গার্ডারের চাপে থেঁতলে যায় প্রাইভেটকারটি। গাড়ির ভেতরে যারা ছিলেন তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় টেনে বের করে স্থানীয়রা। এর আগেও এই প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী ও গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন: ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ল প্রাইভেট কারে, নিহত ৪

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানান, দুর্ঘটনার খবরে উত্তরা থেকে দুটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

এসময় দেখা গেছে, রাস্তার মাঝখানে এ ঘটনা ঘটায় খিলখেত থেকে দীর্ঘ যানজট তৈরি। এছাড়া, দুর্ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলেও তারা বারবার ভিড় করছেন। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর এক্সভেটর দিয়ে ভায়াডাক্ট সরাতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


সর্বশেষ সংবাদ