হাফ ভাড়া দিতে ‘যুদ্ধ’ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মহানগরীর বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন, মহানগরীর প্রায় সব রুটেই সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া অর্ধেক হওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে সর্বনিম্ন ১০ টাকা।
শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে ভাড়া বাড়ানো বিষয়ক বৈঠকে কিলোমিটার প্রতি ৩৫ পয়সা বৃদ্ধি করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তা কেবল নথি-পত্রেই। বাস্তবে ভাড়া প্রত্যেক রুটেই কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হাফ ভাড়া নিচ্ছেন না বাস কন্ডাক্টররা। উল্টো আরও হয়রানি করছেন শিক্ষার্থীদের।
রবিবার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, মতিঝিল থেকে গাজীপুর-গামী বিআরটিসি বাসে ফার্মগেট থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওঠেন মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ভাড়া দেয়ার সময় স্টুডেন্ট ভাড়া দিলে কন্ডাক্টর জানান ভাড়া ১৫ টাকা। যেখানে ফার্মগেট থেকে মহাখালীর দূরত্ব ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার সেখানে সরকার নির্ধারিত কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া ৮ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে সেখানে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। তারা জানান, প্রতিদিনই স্টুডেন্ট ভাড়া দেয়ার জন্য আমাদের কন্ডাক্টরদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। একে তো তারা স্টুডেন্টদের বাসে নিতে চায় না, তার ওপর স্টুডেন্ট ভাড়া নিতেও চায় না। শনিবার ভাড়া বৃদ্ধির পর তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে যেটা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যার বিষয়।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, আমি মহাখালী থেকে 'দেওয়ান' বাসে কলেজে যাই। মহাখালী থেকে কলেজের দূরত্ব ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার, সে হিসেবে ভাড়া ১৬ টাকা ৩২ পয়সা। দেওয়ান বাসে চেক হিসেবে ভাড়া নেয়া হয়। তারা এতদিন ভাড়া ২৫ টাকা নিত। স্টুডেন্ট ভাড়া ১৫ টাকা নিত আর আজকে ভাড়া ৩০ টাকা নিচ্ছে। এভাবে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আমাদের পক্ষে আসা যাওয়া সম্ভব না।
ভাড়া বেশি কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে দেওয়ান বাসের ড্রাইভার মানিক জানান, সরকার তেলের দাম বৃদ্ধি করছে। এখন বেশি ভাড়া না নিলে আমাদের চলবে কিভাবে। আমদের দিকটাও তো দেখতে হবে। আমাদের মালিকরা যেভাবে ভাড়া নিতে বলেছেন আমরা সেভাবেই ভাড়া নিচ্ছি।