তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। হামলায় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বাম সংগঠনগুলো।
রোববার (৭ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ মোড়ের ডিজিটাল স্ক্রিন চত্বরের দক্ষিণ দিকে সমাবেশ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
সমাবেশে অংশ নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন’গুলোর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগে পৌঁছলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাড়াতাড়ি সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়। আমরা তাদের বলি, আমাদের সভাপতির বক্তব্য বাকি। তার বক্তব্যের পর আমরা চলে যাব। ঠিক সে সময় একজন পুলিশ আমাদের এক কর্মীকে আক্রমণ করে বসে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে চতুর্দিকে থাকা পুলিশ আমাদের ওপর অতর্কিত লাঠিপেটাসহ হামলা করে। বিনা উসকানিতেই তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের লাঠিপেটায় তাদের আহত ২০ নেতাকর্মী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলা করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এডিসি হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের (বাম সংগঠন) ওপর কোনো হামলা করেনি। তারাই বরং পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা এবং পেট্রলের দাম ৪৪ ও অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়ায় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় ডিজেলে লিটারে ৪২ টাকার বেশি লোকসান হতো। দাম বাড়ানোর পর এখনও ৮ টাকার বেশি লোকসান হবে।