এবার গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে গতকাল শুক্রবার দিবাগত শেষ রাতের দিকে চলন্ত বাসে এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
সানোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকওয়া পরিবহন নামে একটি বাসে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। এসময় এক নারীকে তারা ধর্ষণ করে। পরে শ্রীপুর থানায় মামলা করার পর শ্রীপুর থানা ও গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় থাকেন।
আরও পড়ুন: এবার রেকর্ড ভাঙলো সোনার দাম
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। গাজীপুর মহানগরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার ভাওয়ালগড়ের নির্জন জায়গায় বাসটি পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি বাসে ডাকাতি করার পর ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই নারী গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের কাছে সহযোগিতা চায়। জয়দেবপুর থানা পুলিশ ওই নারীকে শ্রীপুর থানায় পাঠায়। পরে শ্রীপুর থানা ও গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন পত্রিকাকে বলেন, ‘নওগাঁ থেকে এক নারী স্বামীর সঙ্গে বাসে করে এসে রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাসে নামেন। পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে মাওনা যাওয়ার উদ্দেশে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি গাজীপুর শহর অতিক্রম করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় পৌঁছালে বাসের চালক হেলপার এবং অন্যরা মিলে নারীর স্বামীকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।’
‘এরপর চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ এবং নগদ টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ধর্ষণের পর মাওনা থেকে গাজীপুরের দিকে আসার পথে হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নির্জন স্থানে ওই নারীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নারীর স্বামী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা (নম্বর ১২) হয়েছে। সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। লুট করা সব মালামল উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার বিস্তারিত বলা যাবে।’