জ্বালানির মূল্য কম হওয়ায় প্রচুর তেল পাচার হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে মূল্য কম হওয়ার কারণে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর তেল পাচার হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা অন্যান্য দেশে আগে থেকেই ছিল।
শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ কামালের ৭৩তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা অন্যান্য দেশে আগে থেকেই ছিল। এখন বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য বাড়ানোর ফলে দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা, কলকাতায়ও আগে থেকে ১১৪ টাকার সমমান মূল্য ছিল, চীনে ১১৮ টাকা, আরব আমিরাতে ১২২.৮০ টাকা, নেপালে ১২৭.৮২ টাকা।
আরও পড়ুন: ভাড়া বাড়ানোর আগেই ভাড়া বাড়ল
তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমাদের সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। কিন্তু আশপাশের দেশগুলো সেভাবে ভর্তুকি দেয়নি। আশপাশের দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক আগেই বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মূল্য বৃদ্ধি করাতে জ্বালানি তেলের দাম যে পর্যায়ে গেছে আশপাশের দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই ছিল। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করায় আমাদের দেশে দাম সেসব দেশগুলোর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে তা অনেক দেশের তুলনায় কম। আর দেশের পক্ষে এভাবে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না।
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খাতে প্রভাব পড়বে, এটা স্বাভাবিক। একটি বাসে যদি ৫০ জন যাত্রী থাকে প্রতি কিলোমিটারে মূল্য বৃদ্ধি হবে মাত্র ২৯ পয়সা। এখন প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা করে ভাড়া নেওয়া হয়। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২ টাকা ০৯ পয়সায় দাঁড়াবে।