নদীর ধারে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল কবিরপুর গ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী।
জানা যায়, শিশু শিক্ষার্থী নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার রাতে নানার বাড়ি থেকে মজিবরের ছেলে আলমগীর (৩২) এবং শামছুল হকের ছেলে রশিদুল ইসলাম দুদু (৪০) শিশুটিকে অপহরণ করে কবিরপুর গ্রামে নদীর ধারে নির্জন স্থানে একটি ঘরে আটকে রাখে। দুই দিনে আলমগীর ও দুদু একাধিকবার দা ধরে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
শিশুটি চিৎকার করে অনেকবার বলেছে আপনাদের কোনো মা-বোন নাই। কান্না করলে পাষণ্ডরা গলায় ধারালো দা ধরে বলে চিৎকার দিলে কল্লা ক্যাইডা ফালামু, তোরে কেউ বাঁচাইতে পারবে না। দুই দিন শিশুটিকে অনাহারেও রাখে।
আরও পড়ুন: ভোগান্তিতে অফিসগামী মানুষ: মিলছে না বাস, দ্বিগুণ সিএনজি ভাড়া
নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেরা ঘরে শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে নদীর তীরে থাকা লোকজনদের জানান। বিষয়টি টের পেয়ে শিশুটির পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
শিশুটির মা জানান, আমরা খুবই গরিব, পাঁচ সন্তানের মধ্যে এই শিশুটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। দুই দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ শুক্রবার ধর্ষক আলমগীর ও রশিদুল ইসলাম দুদুকে আটক করে।আটককৃত আলমগীর জানায়, সে তিনটি বিয়ে এবং দুদু চারটি বিয়ে করেছে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধর জানান, শিশুটির মা বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। দুদুর বিরুদ্ধে আগেও ওয়ারেন্ট আছে।