অঝরে কাঁদলেন তানভীর, বললেন- এমন কেন হলো বন্ধু!
মীরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কলেজ পড়ুয়া শান্ত শীল। রেলওয়ে থানায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৯ টি লাশ হস্তান্তরের পর বাকি থাকে দুইটি লাশ,যার মধ্যে শান্তর লাশটিও ছিল।বন্ধু শান্তর মরদেহের পাশে বসে আঝরে কাঁদলেন তানভীর, বললেন- এমন কেন হলো বন্ধু। লাশের পাশে একা বসে থাকতে দেখে প্রথমে অনেকেই ভেবছিল ছেলেটি হয়তো তার আপন ভাই।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।পরিবারের সদস্য না আসায় দুটি মরদেহ সেখানে রেখে দেওয়া হয়। সে দুটি শান্ত শীল ও আসিফ উদ্দিনের।বন্ধু শান্তর মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে দেখা যায় মো. তানভীরকে। অভিভাবক না আসায় তার কাছে পুলিশ মরদেহ দেয়নি।
তানভীর জানান, একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা কুলগাঁও সিটি করপোরেশন স্কুলে। বেড়ে ওঠাও একসঙ্গে। কলেজে উঠে আলাদা হলেও বন্ধুত্বে কখনও ভাটা পড়েনি। মৃত্যুই তাদের শেষ পর্যন্ত আলাদাই করেছে। কাঁদতে কাঁদতে তানভীর বলেন, যাওয়ার আগে যদি একবার দেখা করত। শুধু একটাবার দেখা করত। সেই আফসোসে আমি মরে যাব। কেন এমন হলো বন্ধু? কী করব আমি?
আরও পড়ুন: মারা গেলেন একসঙ্গে, জানাজাও একসঙ্গে
ঘণ্টা দেড়েক পর শান্তর মা মিতা শীল গিয়ে ছেলের মরদেহ বুঝে নেন। এরপর বাকি থাকে আসিফ উদ্দিনের মরদেহ।
শান্ত শীল - তানভীরের বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে মৃত্যু।আজ বন্ধু দিবস, সে হয়তো ফের শান্তর কথা চিন্তা করে কেঁদে উঠে বলবে, শুধু একটাবার দেখা করে যেতি, বন্ধু!