এমপিও না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে আসেন না শিক্ষক, পাঠদান ব্যাহত

এ.কে বহুমূখী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
এ.কে বহুমূখী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা সদরের এ.কে বহুমূখী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক এমপিও না পাওয়ায় পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে ওই বিষয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়,  ওই বিদ্যালয়ে এনটিআরসি এর ৩য় গণ বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে ভোকেশনাল শাখার ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে যোগদান করেন শিক্ষক মাহবুব হোসেন ও মেহেদি হাসান। কয়েকদিন ক্লাস করালেও শিক্ষক বেতন ভাতা (এমপিও) না পাওয়ায় এখন আর ক্লাসে আসছেন না ওই দুই শিক্ষক। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।  

বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকেরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 

সোমবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস সরেজমিনে গেলে একাধিক শিক্ষার্থী দাবী করে, আমাদের নতুন স্যারেরা কয়েক দিন ক্লাস করালেও এখন আর আসেন না। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল ক্লাস নিয়মিত হয় না। আমরা পরীক্ষার খাতায় কি লিখবো?  

অনুপস্থিত কেন প্রশ্নে ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে যোগদানকৃত অনুপস্থিত শিক্ষক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেতনে সমস্যা। স্কুল থেকে কিছু পাই না। কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে কিন্তু ডিজি কাগজপত্র ধরে না।’

আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও আবেদনে যে কাগজগুলো লাগে

ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে যোগদানকৃত অপর শিক্ষক মেহেদি হাসান বলেন, ‘ফ্রী টাকায় কিভাবে সেবা দেব। আমারও তো জীবন আছে। যদি নিয়োগ যোগদানের দু এক মাসের মধ্যে বিল হয়ে যেত তবে এ সমস্যা হত না। (এনটিআরসিএ) এর  সুপারিশ পত্রেও প্রতিষ্ঠান থেকে ১০% দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।’

প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের একটা অংশ নতুন যোগদান করা শিক্ষকদের দেয়া হয় কিনা জানতে চাইলে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, কারিগরি শাখায় স্কুল থেকে কতই বা আয় হয়। দুমকি থানায় কোন স্কুল থেকেই বা বেতন পান। আর তারা যদি স্কুলে নিয়মিত আসতেন তবে ১০ টাকা আয় হলে নিয়ম অনুযায়ী তারাও ২ টাকা পেতেন। 

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বদরুন নাহার ইয়াসমিন বলেন, ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান লিখিতভাবে আমাকে জানালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ