ওসি প্রদীপের ২০ বছর, স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ তাদের এ দণ্ড দেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেওয়া বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের ঘোষণা দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় প্রদীপ ও চুমকি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় প্রদীপ ও চুমকিকে আদালতে আনা হয়। পরে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। 

প্রদীপের আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত বলেন, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৯ জুন প্রদীপের স্ত্রীর নামে থাকা বাড়ি, গাড়ি ও ব্যাংক হিসাব রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রাখার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নির্দেশ দেন। ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। ২৯ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত ১৮ জুলাই যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ মামলায় প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।