ফেসবুকে অবিবাহিত পরিচয়ে কলেজছাত্রের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, আসলে তিনি ২ সন্তানের জননী
স্বামীর সঙ্গে ছিল না ভালো সম্পর্ক। ২ সন্তানে নিয়ে ছিলেন বাবার বাড়িতের। ফেসবুকে বার্তার মাধ্যমে পরিচয় হয় এক কিশোরের সঙ্গে। তাকে অবিবাহিত জানান তিনি । প্রেমের টানে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মৌসুমীকে দেখতে আসে সোহেল। এক পর্যায়ে গড়ায় প্রেম,দেখাদেখি এবং শেষ পর্যন্ত বিয়ে।
শনিবার (২৩ জুলাই) ওই নবদম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করে। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি।
নারীর মা বলেন, প্রথম স্বামীর ঘরে আমার মেয়ের দুই সন্তান আছে। পারিবারিক কলহে স্বামীকে ছেড়ে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। এর মধ্যে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে সোহেলের সঙ্গে প্রেম করে। পরে তারা বিয়ে করেছে। তারা দুজন একে অপরকে চেনে ও জানে। বিয়ের পর থেকে তারা কোথায় গেছে তা আমার জানা নেই।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলে আসছিল। একপর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এরই মধ্যে পীরগঞ্জ উপজেলার পাওটানা হাট গিরগিরি এলাকার কলেজছাত্র সোহেল মিয়ার (২১) সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। ওই নারী নিজেকে অবিবাহিত বলে সোহেলের সঙ্গে প্রেম করেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রেমিক সোহেল ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে সাদুল্লাপুরে আসলে স্থানীয়দের হাতে আটক হন। দেখাদেখি শেষে সোহেলকে নিয়ে স্থানীয় কাজী বাড়িতে যায় মৌসুমী। সেখানে মৌসুমি তার পূর্বের স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে নতুন প্রেমিক সোহেলের সঙ্গে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে সোহেল জানতে পারে তার প্রেমিকার ২টি সন্তান আছে।
আরও পড়ুন: কে কতবার বিয়ে করবেন-বিচ্ছিন্ন হবেন— সেটা ব্যক্তিগত বিষয়
এমন প্রতারণা বুঝে কেটে পড়ার চেষ্টা করে সোহেল। কিন্তু এলাকার কতিপয় যুবক সোহেলকে আটকে রেখে এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের স্থানীয় মৌলভী দ্বারা বিয়ে পড়ানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে সাদুল্লাপুর থানার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) সেরাজুল হক বলেন, ধাপেরহাট ইউনিয়নের ওই বিয়ের ঘটনাটি ফেসবুকের মাধ্যমে আমার নজরে আসে। সোহেল মিয়া পীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন বলে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।