হাকালুকি হাওরে টর্নেডো, কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ছে পানি
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে দেখা মিলেছে টর্নেডোর। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে হাকালুকি হাওরের বড়লেখা উপজেলা অংশের চাতল বিল এলাকায় এ দৃশ্য দেখতে পান তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, সৃষ্ট টর্নেডোতে হাকালুকির পানি জোয়ারের ন্যায় টেনে আকাশে তুলে নেয়। আকাশ কালচে বর্ণ ধারণ করে বিজলী চমকে গর্জন করতে থাকে। জল আর আকাশে পানির পিলারের তৈরি হওয়া স্তম্ভ দেখতে হাকালুকির তীরবর্তী লোকজন কৌতুহল ভরে দেখতে থাকেন।
বড়লেখার সুজানগরের বাসিন্দা শিক্ষক শরফ উদ্দিন বলেন, অনেকদিন আগে হাকালুকিতে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। এরপর এমন ঘটনার ভিডিও আজই দেখলাম। জলকুণ্ডলীর কারলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সন্ধ্যার ঘণ্টা খানেক আগে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়ে কিছুক্ষণ পর তারন বিলীন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনরত রনির ওপর ডিম নিক্ষেপ
এমন ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, হাকালুকি এশিয়ার বৃহত্তম হাওর। এখানে জলরাশিতে যেটা দেখা গেছে, সেটি মূলত টর্নেডো ছিল। এ ধরণের টর্নেডো অন্তত ১০/১২ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়। সেটি হয়তো আরও বেশি বিস্তৃত হতে পারতো। এছাড়া যে লোক ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে, সেও এটার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারেনি, এর ঘুর্ণয়ন গতি বিস্তৃত হতে থাকলে নৌকাসহ তাকেও আকাশে তুলে উড়িয়ে নিতে পারতো। কয়েক বছর আগে নেত্রকোনা হাওরেও ১০/১২ কিলোমিটার জুড়ে এরকম টর্নেডো সৃষ্টি হয়েছিল। তবে শক্তি সঞ্চার ঘটাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তেমনি হাকালুকি হাওরেও ঘূর্ণ্যমান তীব্রগতিতে পানি আকাশে উঠেছিল। সেটি কোনো দিকে মুভ করলে প্রলয়ঙ্করী হতে পারতো।