পানির উপরে বাসরঘর, অনেক উৎসাহ পাচ্ছেন হালিম মিয়া
পুকুরের পানির ওপরে বাসর রাত কাটিয়ে নজর কেড়েছেন হালিম মিয়া (২৫) নামে এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি। শুক্রবার শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়। এদিকে বাসর ঘরটি দেখতে ভিড় করছে আশপাশের এলাকার লোকজন।
জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর সাতানীপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে হালিম মিয়া। আব্দুল হামিদের নয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট হালিম।
হালিম মিয়া বলেন, আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে ইচ্ছা হয় ব্যতিক্রমী কিছু করার। সেই ইচ্ছা থেকে আমার নানা ও চাচা মিলে উদ্যোগ নেয় পুকুরের ওপরে বাসর ঘর তৈরি করার। পরে গত চার থেকে পাঁচ দিন ধরে তারা দুইজন মিলে আমাদের বাড়ির পাশে পুকুরের ওপর তৈরি করে এ বাসর ঘর। আস্তে আস্তে আশপাশের মানুষজন বাসর ঘরটি দেখতে আমার বাড়িতে আসতে শুরু করে। আমার খুব ভালো লাগছে, আমি অনেক উৎসাহ পাচ্ছি।
চাচা রোকন সরকার বলেন, আমার ভাতিজার খুব ইচ্ছা ব্যতিক্রমভাবে বিয়ে করবে। পরে বিয়ে ঠিক হলে আমরা পারিবারিকভাবে কয়েকবার বসে সিদ্ধান্ত নেই কি করা যায়। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় পানির উপরে বাসর ঘর করার। পরে বাড়ির পাশে একটা পুকুর আছে, সেই পুকুরে মাঝখানে বাসর ঘর বানানোর কাজ শুরু হয়। বানানোর সময় অনেক মানুষ আজেবাজে কথা বলে। কিন্তু সব সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এই বাসর ঘর দেখতে মানুষ ভিড় শুরু করে।
টাংগারপাড়া থেকে বাসর ঘর দেখতে আসা সোয়াইব রহমান বলেন, এর এর আমার জীবনে এমন বাসর ঘর দেখি নাই। এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরে দেখতে এসেছি, আসলেই ব্যতিক্রম এটি।
তালুকপাড়া থেকে আসা খাইরুল ইসলাম বলেন, পানির মধ্যে বাসর ঘর সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। তার চমৎকার একটি আইডিয়া। খুব ভালো হয়েছে।
চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে এমন বিয়ে হওয়ায় মানুষের মাঝে হৈচৈ শুরু হয়েছে। আমার জানা মতে, পানিতে এমন বাসর ঘর দেখি নাই। বিভিন্ন মানুষ দেখতে আসছে এই বিয়ে।