এমপিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সেই অধ্যক্ষ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ০৩:১৯ PM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২, ০৩:১৯ PM
রাজশাহীতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত কলেজ অধ্যক্ষ মো. সেলিম রেজা দাবি করেছেন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে মারধর করেননি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়েই এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৭ জুলাই এ কার্যালয়েই সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি এবং হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেলিম রেজা গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্যের পাশে বসে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যমে যেভাবে বলা হচ্ছে সংসদ সদস্য তাকে মারধর করেছেন, তা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপির অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় আমাদের অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন এবং অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এমপি আমাদেরকে নিবৃত্ত করেন। এ ছাড়া আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মারধর না হলে ঘটনার রাতে চিকিৎসকের কাছে কেন গেলেন- এ প্রশ্নে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলন, নিজেদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল।
এ সময় গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আউয়াল রাজু বলেন, ঈদ উপলক্ষে অধ্যক্ষ ফোরামের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনিই সব অধ্যক্ষকে ফোন করে ডাকেন। সেখানে ফোরামের কমিটি গঠন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তিনিই অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে ধাক্কা দেন। এ সময় সেখানে থাকা আলমারি ও চেয়ারে ধাক্কা খেয়ে সেলিম রেজা আহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেন, তাকে ঘিরে বারবার চক্রান্ত হয়। আর এর পেছনে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি যখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তখন সম্পাদক ছিলেন আসাদ।
সংসদ সদস্য বলেন, আসাদই অধ্যক্ষকে মারধরের অপপ্রচার করেছেন। এতে তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন, তার মানহানি ঘটেছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের কাছে এর বিচার চান।