ঢাবিতে এবার ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জন্যও প্রার্থনাকক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলগুলোতে এবার সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ খোলা হচ্ছে। কিছুটা দেড়িতে হলেও ঢাবির শামসুন্নাহার হলের মাধ্যমে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা কক্ষের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীরা এতে সাধুবাদের সঙ্গে স্বস্তিও জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সঁপে দিতে চান সকল ধর্মের বিশ্বাসীরা। সব ধর্মেই এটা অনিবার্য সত্য। সম্প্রতি ঢাবির মেয়েদের আবাসিক হলগুলোতে নামায ঘরের পাশাপাশি প্রার্থনা কক্ষ খোলা হচ্ছে। শামসুন্নাহার হল দিয়েই এ যাত্রা শুরু।
এ ব্যাপারে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক লাফিফা জামাল জানান, স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয় যে ছাত্রী হলগুলোতে মুসলিম ব্যতিত অন্যান্য ধর্মের যে ছাত্রীরা আছেন তাদের প্রার্থনার জন্য যে একটা ব্যবস্থা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় একটা অসামপ্রদায়িক জায়গা, এখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার আছে। কাজেই এটা খুবই ভাল একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে সামনে এগিয়ে আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা বিশাল প্রাপ্তি। ছোট থেকে বড় হওয়া অবধি আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বের হতাম এই সুযোগটা এতোদিন ছিল না, এখন আছে। ঈশ্বরের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়াটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় অর্জন। প্রার্থনা কক্ষে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী শির্ক্ষাথীরা সব সময় র্প্রাথনা করতে পারেন। শিক্ষা জীবনের অনেকটা পার করে ফেলেছেন যারা কোনো র্প্রাথনা কক্ষ ছাড়াই, তাদের কাছে এই উদ্যাগটা বিশাল প্রাপ্তির।
এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষকরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। রুমে উপাসনা করলে উপাসনালয়ে পূজার যে অনুভূতি তা আসতো না আগে। মুসলিম ছাত্রীরা নামাজের জায়গা পেতো কিন্তু আমাদের উপাসনার কোনো জায়গা ছিল না, আমাদের উপাসনারও তো প্রয়োজন আছে।যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়, শির্ক্ষাথীদের মুক্ত চিন্তা চর্চার জায়গা। তাই এখানে সংখ্যা গরিষ্ঠ হোক কিংবা সংখ্যা লঘু; ছেলে হোক মেয়ে হোক, যে যেটা বিশ্বাস করেন, তার তা চর্চার অধিকার নিশ্চিত করতে হয়।