ঈদের দিনও গাবতলী হাটে গরু বেচাকেনা চলছে
ঈদের দিন ভোর থেকেই বেচাকেনা চলছে গাবতলী হাটে। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১ টা ২০ পর্যন্ত হাট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা ভির করছেন হাটে।
ক্রেতারা বলছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম বেশি থাকায় তারা কিনতে পারেননি। এখন ঈদের দিন এসেছেন কিনতে।
কেরানিগঞ্জ থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন আব্দুল মজিদ। ভোর ৬ টায় এসেছেন কিন্তু এখন পছন্দের গরু কিনতে পারছেন না।
আবদুস সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সাদা গরুটি চার লাখ, সাড়ে চার লাখ পর্যন্ত দাম বলে গেছেন ক্রেতারা। তখন আমি পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু অন্য গরু বিক্রি হলেও এই গরুটা বিক্রি হয়নি। এখন এর দাম দুই লাখ বা দুই লাখ ২০ হাজার বলছে ক্রেতারা। আমি তিন লাখ হলেই ছেড়ে দেবো।
তিনি বলেন, বড় গরু বেচার জন্য ছোট গরুগুলো আগে বিক্রি করেছি। একটা বড় গরুতে এরই মধ্যে এক লাখ টাকা লোকসান করেছি। এখন এ গরুরও দাম কম বলছে ক্রেতারা। গত দুই বছর ধরে বড় গরু বিক্রি করে লোকসান করছি।
আব্দুল মজিদ বলেন, দুই দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে ঘুরছি, বিক্রেতা ছোট গরুর দামই ছাড়ছেন না। গত বছর যে গরু কিনেছি ৪০ হাজার টাকায় এবার সে গরু দাম চায় ৬৫ হাজার টাকা।
রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে আনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে হাটে এসেছেন। আনোয়ারা বলেন, দাম বেশি থাকায় আগে কিনতে পারিনি। ভোরে এসেছি এখন বেলা ১১ টা বাজে কিনতে পারছি না।
আরও পড়ুন: বানভাসিদের জন্য গরু কোরবানি দিলেন ছাত্র মজলিশ
গতকাল থেকে রাজধানীতে হাটে ছোট গরুর সংকট ছিল। এ সংবাদ পেয়ে রাতেই পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে অনেকে গরু নিয়ে এসেছেন হাটে।
আলমগির হোসেন বলেন, রাত ১০ টায় মানিকগঞ্জ থেকে ১০ টি গরু নিয়ে এসেছি। সবগুলো এক লাখের নিচে দাম ছিল।
সুরুজ মিয়া মানিকগঞ্জ থেকে ৪ টি গরু এনেছেন ২ টি বিক্রি করেছেন। রাত ১০ টায় রওয়ানা দিয়ে হাটে এসেছেন রাত ৩ টায়।
তিনি বলেন, বাজারে ছোট গরুর সংকটের খরব শুনে চারটি গরু ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু এখন দাম স্বাভাবিক। তাই আমার তেমন লাভ থাকবে না। দুইটি ১ লাখ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। গতকাল উত্তরা হাটে ৪ টি গরু বিক্রি করেছিলাম সেখানে ৫০ হাজার লাভ ছিল।