চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
চন্দনাইশ এলাহাবাদ জাঁহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা এক দিন আগে শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতী, বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া ও গাটিয়াডেঙ্গা, লোহাগাড়ার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, হারালা, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, কেশুয়া, জুনিগোনা, আব্বাসপাড়া, বাথুয়া, বাঁশখালীর জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, গুনাগড়ি, চুনতি, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়ার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়া এবং বোয়ালখালী ও ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০০টি গ্রামের অনেক মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: বিমানে করে ঢাকায় আসছেন কসাইরা
শনিবার সকালে চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করেন মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা। নামাজে ইমামতি করেন হযরত শাহছুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী।
জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মো. মতি মিয়া মনসুর বলেন, আমরা আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে দেশবাসীর শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ৭০টি গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের মতে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদসহ সব মুসলিম ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে। এটি প্রায় ২৫০ বছর আগে থেকে চলে আসছে।
নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারা পশু কোরবানি করেছেন।